সংবাদচর্চা রিপোর্ট
সীমিত পরিসরে দোকান-পাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে রাস্তার পাশে অর্থ্যাৎ ফুটপাতে কোন দোকান থাকবে না। এমন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়ের পক্ষ থেকে। সরকারের এমন নির্দেশনার পরেও নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকায় ইতিমধ্যেই দখল করা হয়ে গেছে ফুটপাত। এতে করে বেড়ে যেতে পারে করোনার সংক্রমণ। সচেতন মহল বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ফুটপাতগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিৎ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের আশপাশ, নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের হর্কাস মার্কেট, চাষাঢ়ার সোনালী ব্যংকের ও জিয়া হলের সামনে, খাজা সুপার মার্কেট এবং রাস্তার অপর পাশের বিভিন্ন স্থানে হকাররা ফুটপাত দখল করে দোকান সাজিয়েছে। এসব দোকানে বিক্রেতাদের আনাগোনাও চোঁখে পড়ার মতো। তবে ক্রেতা আর বিক্রেতার মধ্যে নেই সামাজিক দুরত্ব। আবার অনেকের মুখে নেই মাস্ক।
অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জোন বা এলাকা অনুযায়ী মার্কেট বা দোকান-পাট খোলা হবে। সীমিত পরিসরে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং কেউ চাইলে নাও খুলতে পারে। তবে রাস্তার পাশের দোকান-পাট খোলা যাবে না।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে ফুটপাত দখল করে আছে হকাররা। তবে প্রতি বছর ঈদের আগে বিশেষ ছাড় দেয়া হয় রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারি এসব হকারদের। কারণ বড় মার্কেট ও শপিংমলের থেকে ফুটপাতের ক্রেতা অনেক বেশি থাকে। তবে, এবার এমন কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তারপরেও দখল হয়েছে ফুটপাত। বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না নগরীর সচেতন মহলের লোকজন। তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ রোধে ফুটপাত এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ শপিংমলগুলোর চেয়ে ফুটপাতে তুলনামূলকভাবে লোকসমাগম অনেক বেশি থাকে। আমরা বর্তমানে যে পরিস্থিতির মধ্যে আছি তার মধ্যে ভিড়ে না যাওয়ায় শ্রেয়।